খাগড়াছড়িতে মানসিক প্রতিবন্ধী এক জুম্ম নারীকে গণধর্ষণ ও বাড়ি লুটপাটকারীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যৌথ বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পিসিপির পক্ষে শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় খাগড়াছড়ি সদরের ১ নং গোলাবাড়ি ইউনিয়নের বলপিয়ে আদাম নামক গ্রামে দরজা ভেঙ্গে দা-ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত ৯ জন সেটেলার বাঙালী কর্তৃক মানসিক প্রতিবন্ধী এক জুম্ম নারীকে গণধর্ষণ এবং দেড় লক্ষ টাকার সম্পত্তি লুটপাটের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে দুষ্কৃতিকারী সেটেলাররা গঞ্জ পাড়ার বাসিন্দা হাওয়াতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে তাদের গ্রেফতার করতে তেমন কোন বেগ পেতে হবেনা। খুব সহজেই আসামীদের গ্রেফতারের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরস্থিতি সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, মহামারি করোনার সময়ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগনের উপর মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা বেড়েই চলেছে । একদিকে সেনা মদদপুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ন্য , অন্যদিকে সেটেলারদের জোর কদমে ভূমি বেদখল ও নারী- শিশু ধর্ষণের মহোৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের জীবনকে নাভিশ্বাস করে তুলেছে। আগস্টের শেষের দিকে লামা ও মহালছড়িতে নারী ও যুবতী গণধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের আটক করা হলেও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হচ্ছেনা যা সাপ –ওঝার খেলার সমান। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে পানছড়ি ও সাজেকে জুম্ম নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় আসামীদের না ধরা ও আটক আসামীকে যথাযথ শাস্তি না দেয়া পুলিশ ও প্রশাসনের দায়িত্বের গাফিলতি ও ব্যর্থতার দায়ভার এড়াতে পারেনা ।
এছাড়াও বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলা হয়, মূলত পাহাড়ের বুকে জুম্ম নারীদের উপর সংঘটিত ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও বিচারহীনতা সংস্কৃতি ধর্ষণকারীদের আরও ধর্ষণের উৎসাহিত করে চলেছে।
বিবৃতিতে খাগড়াছড়িতে মানসিক প্রতিবন্ধী এক জুম্ম নারীকে গণধর্ষণ ও বাড়ি লুটপাটের সাথে যুক্ত আসামীদের গ্রেফতার এবং দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো হয়।