কাঞ্চন মারাক, শ্রীবরদী (শেরপুর): ১০ম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপ তফসিল ঘোষনা মোতাবেক এবছর ২৬ ডিসেম্বর সারাদেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর ধারাবাহিকতায় শেরপুরের শ্রীবরদীতে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের লড়াইয়ের অংশ হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা ও পোষ্টারে মূখরিত পুরো শ্রীবরদী উপজেলা। দিন কি রাত, কনকনে শীত উপেক্ষা করে চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজ।
আর এই ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন ৪র্থ ধাপ নির্বাচনে শেরপুর জেলার একমাত্র গারো আদিবাসী প্রার্থী ও আদিবাসী নেতা মজিদ ম্রং।
তিনি শ্রীবরদী থানাধীন ১নং সিংগাবরুনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রভাবশালী ৩ জনের বিপক্ষে ভেনগাড়ি প্রতীকে লড়ছেন।
দীর্ঘদিন কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের আওতায় বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করেছেন মজিদ ম্রং। চাকরীর সুবাদে প্রান্তিক জনসাধারনের কষ্টের বাস্তব চিত্র চোখে পড়ে এবং অবসর গ্রহণের পর জনপ্রতিনিধি হবার ইচ্ছে পোষন করেন। তাই এবারের ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ‘ভেনগাড়ি’ প্রতীকে লড়ছেন।
এ ব্যপারে প্রার্থী মজিদ ম্রং আইপি নিউজকে জানান, “আমি ৫ নং ওয়ার্ডের জনগণের জনপ্রতিনিধি হয়ে সেবা দিতে চাই, সেজন্যে ৫ নং ওয়ার্ডবাসী তথা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।”
তিনি আরোও বলেন, “সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানান কায়দায় অত্যাচার-জুলুম হয়, সারা দেশের পক্ষে না হলেও অন্তত শ্রীবরদীবাসীর পক্ষে কথা বলার জন্যে সকলের প্রার্থনা ও সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
প্রার্থী সম্পর্কে হাড়িয়াকোনা গ্রামের বাসিন্দা আইনাল হক বলেন, “মজিদ ভাই অমায়িক লোক, ধর্মভীরু হিসেবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সাথেই তাঁর আচরণ খুবই আন্তরিক।”
বাবেলাকোনা গ্রামের নেতা মদন শীল বলেন, “দাদার পাশে আমি সবসময় আছি, তিনি আমাদের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ান। মেম্বার পদে আসলে আমাদের জন্যে কাজ করার মতন মানসিকতা তারই আছে।”
এছাড়া চান্দাপাড়া গ্রামের যুবক দোলন কোচ বলেন, “আংগর কাহা নেম্বর হয়লে আংগর ইলাকার ভালা হবো।”