শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী কালাকুমার ও তারানি গ্রামে রেকর্ডিয় আবাদি কৃষিজমির উপর দিয়ে টিআর-কাবিটা প্রকল্পের নামে অবৈধ ও জোরপূর্বক খাল খননের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গেইটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার হিউম্যান রাইটস্ ডিফেন্ডারস্ ফোরাম (এইচআরডি) কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন এইচআরডি আহ্বায়ক লক্ষণ কুমার বর্মন।
সুমন্ত হাজং এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জন-উদ্যোগের আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) শেরপুর জেলা সভাপতি ও সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম লিটন, বাংলাদেশ হদি-ক্ষত্রিয় কল্যাণ পরিষদ সভাপতি লিটন দেব সেন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখা সহ-সভাপতি সৌহার্দ্য চিরান, আদিবাসী নেতা সুমির চাম্বুগং, ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে জনউদ্যোগ শেরপুরের আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অনতিবিলম্বে অবৈধ খাল খনন বন্ধ করুন, অথবা ১৩ আদিবাসী পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক।”
বাগাছাস নেতা সৌহার্দ্য চিরান বলেন, “আমরা দেশের উন্নয়ন চাই। কিন্তু, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের পথে বসিয়ে দেয়া উন্নয়ন চাই না।”
এছাড়াও বক্তারা সুষ্ঠু সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন।
উল্লেখ্য যে, টিআর (টেস্ট রিলিফ)-কাবিটার (কাজের বিনিময়ে টাকা) টাকায় ভোগাই নদী থেকে দর্শা খাল পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নকশা কিংবা সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা এ খাল কাটার কাজ বাস্তবায়ন ও তদারকি করছেন। বরুয়াজানির দর্শা খাল থেকে বিশগিরিপাড়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার খাল আগে থেকে রয়েছে। সেটি সংস্কারের পাশাপাশি বৈশাখী বাজার থেকে তাড়ানি গ্রামের ভোগাই নদী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার নতুন খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বৈশাখী বাজার থেকে তাড়ানির দিকে খালটি কাটা শুরু হয়। ছয়-সাত ফুট গভীর এবং অন্তত ১৫ ফুট প্রশস্ত করে কাটা হয়েছে।