জাতীয়

মনোরঞ্জন হাজং এর ঘটনায় শাহবাগে নাগরিকদে’র ক্ষোভঃ বিচারপতি’র ছেলের বিচার দাবী

বিচারপতির ছেলের গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হওয়া মনোরঞ্জন হাজংয়ের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে আজ রবিবার বিকালে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী ছাড়াও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, “বাংলাদেশ সব মানুষের হয়নি। তার প্রমাণ হচ্ছে ১৭ দিন আগের ভয়ংকর ঘটনাটি।”

বিজ্ঞাপণ

রোবায়েত ফেরদৌস আরো বলেন, “প্রান্তিক হাজং জনগোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার জন্য কি এই অবস্থা, নাকি একজন বিচারপতি রাষ্ট্রক্ষমতার ওপরের ভাগে থাকেন বলে এই অবস্থা? এই কাঠামোগত বৈষম্যের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক মানুষের বিচারের জায়গাটি বন্ধ করা হচ্ছে।”

সংহতি বক্তব্যে জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, “ক্ষমতার কাঠামোতেই সমস্যা রয়েছে কারণ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ক্ষমতার উচ্চপদে আছেন এবং যারা অভিযোগ করছেন তিনি প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। মনোরঞ্জন হাজং এবং মহুয়া হাজং যেন সঠিক বিচার পান সেই দাবি জানাচ্ছি। আইনের ব্যত্যয় হচ্ছে বলেই আজ আমরা সমবেত হতে বাধ্য হচ্ছি।”

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়নি। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। বিচার পেতে হলে জনগণকে জাগতে হবে।”

বিজ্ঞাপণ

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন প্রকাশক রবিন আহসান। উক্ত সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট ফোরাম কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকায় ইউটার্নে একটি দ্রুতগতির বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় আহত হন মনোরঞ্জন হাজং।পরে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়। এখনো মনোরঞ্জন হাজং একপ্রকার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালের বেডে শুয়ে। সেই মনোরঞ্জন হাজং এর বিরুদ্ধে অভিযুক্ত বিচার পতি’র ছেলেই আবার জিডি করেছেন। আর মনোরঞ্জন হাজং এর মেয়ে পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজং পুলিশ এর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ৷ পরে ১৫ দিন পর মামলা নিলো পুলিশ। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা।

Back to top button