আজ বনফুল আদিবাসী গ্রীণহার্ট কলেজের নবীন বরণ ও কৃতিশিক্ষার্থী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অতিথিদের বক্তব্যের পাশাপাশি ২০১৯-২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশংসাপত্র বিতরণের মাধ্যমে সম্মাননা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফুলের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণীর নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো বলেন “অনেকে মনে করে এখানে শুধু আদিবাসীর সন্তানেরা পড়ালেখা করে, কিন্তু আমরা এখানে চেষ্টা করি সকল শিক্ষার্থী কে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে শিক্ষা দান করতে।” তিনি শিল্প প্রতিমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন “মায়ানমার যখন রোহিঙ্গাদের বিতারিত করে দিয়েছিলেন, তখন আমাদের প্রতিষ্ঠানকে অনেক নিন্দার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো। অনেকেই ফেসবুকে বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠান বলে, এই কলেজকে নিন্দা জানাচ্ছিলো। তখন পাশে ছিলেন কামাল আহমেদ মজুমদার।”
এই বক্তব্যের পাশাপাশি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন “যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ নির্যাতন করছে, তারাই আবার জননেত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করছে। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক দেশ। যার যার ধর্ম, সকলেই স্বাধীন স্বতন্ত্র ভাবে পালন করবে। এ দেশ কে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”
প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা, বনফুল আদিবাসী গ্রীণহার্ট কলেজের রেক্টর বলেন “সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ব্যতিক্রম। কারণ কড়া জনগোষ্ঠী, খিয়াং জনগোষ্ঠী সহ বেশ কিছু শিক্ষার্থী যারা সংখ্যায় খুবই কম এখানে পড়ালেখা ও বাসস্থানের সুবিধা পায়।”
শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত, ত্রিপিটক, গীতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার (এমপি)। বিশেষ অতিথি, চেয়ারম্যান ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো, সভাপতি গভর্নিংবডি, বনফুল আদিবাসী গ্রীণহার্ট কলেজ এবং বনফুল আদিবাসী ফাউন্ডেশনের সভাপতি।
সভাপতির বক্তব্য দেন, বনফুল আদিবাসী গ্রীণহার্ট কলেজের অধ্যক্ষ সুদীপ কুমার মন্ডল ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপাধ্যক্ষ মতিয়া খান।